
আবু বকর সিদ্দীক
বার্তা প্রেরক
পাকিস্তানিদের অবিচার, অনাচার থেকে মুক্তি এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ দেশ গঠন করার জন্য ১৯৭১সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এক অসম যুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন কিন্তু স্বাধীনতার সুফল জাতী ভোগ করতে পারেনি। স্বাধীনতার পর থেকে কতিপয় ক্ষমতালোভী মানুষের অসততার কারণে দেশের আপামর জনতা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজে পায়নি। বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, উপূর্যুপরি দূর্নীতি, সন্ত্রাস, অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দেশটাকে হরিলুট করেছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি ওড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
আজ ১৬ই ডিসেম্বর শনিবার পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত “বিজয়ের ৫৩ বছর; বর্তমান বাংলাদেশ শীর্ষক”আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম ইমরানের সঞ্চালনায় ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই সরকার অনৈতিক সুবিধা লুটে নিতে সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধ আর ধর্মকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ এবং যুগপৎ ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করছে। স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, কেউ দেশের স্বার্থে কাজ করেনি। এই ক্ষমতা লোভীদেরকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেশপ্রেমী আদর্শিক নেতাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত নেতা পীর সাহেব চরমোনাই সেই আদর্শ নেতা। আর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিশ্বাস করি। এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে আমাদের সবটুকু সামর্থ বিনিয়োগ করব। কারণ, আমরা বিজয়দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বিজয়ের প্রকৃত সুফল তৈরিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। যদি সরকার সো কল্ড নির্বাচন করতে চায়, তাহলে এটাই হবে তাদের পতনের জন্য শেষ পদক্ষেপ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, অ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, প্রকাশনা সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল আলম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মুফতী মাঈনুউদ্দিন খান তানভীর, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, নগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতি শওকত উসমান, মাওলানা হাম্মাদ বিন মোশাররফ, মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মুফতি আরমান হোসাইন প্রমূখ।