
মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ্ তালুকদার
কবি হেলাল হাফিজ এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “কবিতা একাত্তর” এর অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ এর পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার’।
মানুষ মাত্রই শৈশব ও কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করে। এ সময় শক্তি-সামর্থ্য চিন্তা-চেতনায় মানুষ অনেক বেশি নিজেকে শক্তিশালী মনে করে। যেকোনো ইচ্ছা ও কামনা-বাসনা পূরণে তার ভূমিকা থাকে অপরিসীম। সভ্যতা-সংস্কৃতির যেকোনো উত্থান-পতনে তাদের অবদান হয় অনস্বীকার্য।
মূলত ১৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত সময়কালকে যৌবনকাল বলা হয়। জাতিসঙ্ঘ ১৯৯৮ সাল থেকে ১২ আগস্টকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ঘোষণা করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ এবং বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ যুব জনতা।
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। মূলত যুব সমাজই দেশ জাতির অগ্রগতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ যুবকদের শক্তির ধ্বংস নেই, বিনাশ নেই। কিন্তু এই যৌবনের অধিকারী যুবসমাজ যখন রাজনীতিতে আদর্শের বলি দিয়ে নীতিহীন অপ-রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে তখন যুব সমাজের মধ্যে দেখা দেয় নানা অনাচার, অসংগতি, নানা অবক্ষয় যেটা জাতির জন্য বড়ই দুর্ভাগ্য, যে শক্তি ও সাহস কর্ম-উদ্দীপনা দেশ জাতির কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার পরিবর্তে তারা এখন বিপথগামী।
যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। এজন্য তাদেরকে সুস্থ পথে সঠিক পথে থাকতে হয়। দেশের উন্নতি, অবনতি, তাদের ও বিভিন্ন কার্যকলাপের ওপর নির্ভরশীল। তারা যদি নিজেদের প্রকৃত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, দেশের নানা অন্যায়, অবিচার রোধ করতে পারবে।
এজন্য তাদেরকে অব্যশই সচেতন ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। তাদের ভাবতে হবে এদেশটি তারাই নেতৃত্ব দেবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের দিকে। উন্নতির দিকে, প্রগতির দিকে, শান্তির দিকে। সমাজ জীবনে নানা ধরনের অন্যায়, অবিচার, ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদী হতে হয়। কিন্তু তারা যদি নিজেরাই নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে সেটা হবে জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য ও হতাশাব্যঞ্জক।
যৌবনের উদ্যমতা ও শক্তিমত্তাকে যদি সঠিক পন্থায়, সঠিক কাজে ব্যয় করা হয়, তাহলে সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ে উঠে। কারণ এই যুবকরাই জাতির মেরুদন্ড। এরা সুসংহত হলে গোটা জাতি সুসংহত হয়। এরা পথ হারালে গোটা জাতিই পথ হারায়।
ইসলামে প্রবিষ্ট হওয়ার দিক থেকেও যুবকরা ছিল অগ্রণী। মূসা আ:-এর অনুসারীদের মধ্য থেকে যুবকরাই সর্বপ্রথম ঈমান এনেছে। মুহাম্মদ সা:-এর দাওয়াতেও যুবকরাই সর্বাগ্রে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর তাদের বেশির ভাগই ছিলেন ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের।
ইমাম ইবনু কাসির রহ: বলেছেন, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আহ্বানে সাড়া দানকারীরা বেশির ভাগই ছিল যুবক। আর কুরাইশদের মধ্যে বুড়োরা তো তাদের বাপ-দাদার ধর্মেই অটল ছিল। এদের খুব অল্পসংখ্যকই ঈমান এনেছিল।’
যৌবনকালকে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করা আরশের ছায়াতলে আশ্রয় পাওয়ার মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, সাত শ্রেণীর মানুষকে হাশরের মাঠে আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন, যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। তন্মধ্যে অন্যতম হলো ওই যুবক, যার যৌবন কেটেছে আল্লাহর ইবাদতে (সহীহ বুখারী : ৬৬০)।
মানবজীবনে যৌবনকাল হলো মধ্যবর্তী সময়। শিশুকালে মানুষ থাকে দুর্বল, আর বৃদ্ধকালে হয় পরনির্ভরশীল। মাঝের সময়টুকুই শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে দ্বি-প্রহরের সূর্যের মতো প্রখর। পবিত্র আল কুরআনে এসেছে
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِن بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِن بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً ۚ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ۖ وَهُوَ الْعَلِيمُ الْقَدِيرُ•
অর্থাৎ: আল্লাহ তিনি দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দূর্বলতার পর শক্তিদান করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। (সূরা আল রুম : ৫৪)।
যুবক বয়সের বেশির ভাগ নারী-পুরুষই দুনিয়া অর্জন তথা ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি ও চাকচিক্যময় জীবন-যাপন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। পরকালের কথা বেমালুম ভুলে যায়। অনাগত পরকালের সীমাহীন জীবনের সুখ-শান্তির কথা মনে থাকে না। দুনিয়ার চাকচিক্য ও সৌন্দর্য তাকে পেয়ে বসে। এ ছাড়া মানুষের প্রকাশ্য দুশমন বিতাড়িত শয়তান দুনিয়াতে যুবক-যুবতীদের পরস্পরের সামনে সুমিষ্ট ও সুশোভিত করে তুলে।
সমাজে নানা ধরনের অন্যায়-অবিচার-অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার জন্য সর্বাগ্রে যুবকরাই দায়ী। তাদের বেপরোয়া ভাব ও অনৈতিকতার কারণেই সব অপকর্মে জন্ম। আল্লাহ তায়ালা এসবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন,
قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ•
‘বলুন, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন সব প্রকার অশ্লীলতা। তা প্রকাশ্য হোক আর অপ্রকাশ্য হোক’ (সূরা আল আরাফ : ৩৩)।
আল্লাহ তায়ালার কাছে যুবক বয়সের ইবাদত-বন্দেগির মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা তখন মানুষ বেশির ভাগই সুস্থ থাকে এবং সব ইবাদত যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। নবী-রাসূলগণ আল্লাহর পক্ষ থেকে যে রিসালাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তা ছিল যৌবন বয়সে। ইবনু আব্বাস রা: বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সমস্ত নবীদের যৌবনকালে নবুয়ত দান করেছেন, যৌবনকালেই আলেমদের ইলম প্রদান করা হয়।’ আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَاسْتَوَىٰ آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا ۚ
‘তিনি (মূসা আলাইহিস সালাম) যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছিলেন, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি দান করলাম’ (সূরা আল কাসাস : ১৪)।
আসহাবে কাহাফের সাত ব্যক্তিও ছিল যুবক। যারা এক আল্লাহর ইবাদতে বিশ্বাসী ছিলেন। যাদেরকে শত্রুর হাত থেকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করেছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন,
نَحۡنُ نَقُصُّ عَلَيۡكَ نَبَاَهُمۡ بِالۡحَـقِّؕ اِنَّهُمۡ فِتۡيَةٌ اٰمَنُوۡا بِرَبِّهِمۡ وَزِدۡنٰهُمۡ هُدًىۖ
‘(হে রাসূল!) আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করেছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম’ (সূরা আল কাহাফ : ১৩)।
পুরো জীবনকালের ব্যাপারে যদিও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে, কিন্তু যৌবনকালের ব্যাপারে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘কিয়ামত দিবসে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এক কদমও সরতে পারবে না: তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে তা অতিবাহিত করেছে; তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা ব্যয় করেছে…’ (তিরমিজি : ২৪১৭)।
আল কুরআনে মহান আল্লাহ সময়ের কসম খেয়েছেন, মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য সময়কে গুরুত্ব দিতে তিনি আদেশ করেছেন। তা ছাড়া হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের আগে সুবর্ণ সুযোগ মনে করো। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার আগে…।’ (হাকিম, মুস্তাদরাক : ৭৮৪৬)।
আবু বকর রা: বলেন, ‘যৌবনের ইবাদত বৃদ্ধ বয়সের ইবাদতের চেয়ে অনেক বেশি দামি। আবার বৃদ্ধ বয়সের পাপ যৌবনের পাপের চেয়ে অনেক বেশি জঘন্য।’ শেখ সাদী রহ: বলেছেন, ‘দুনিয়া ও পরকালের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা এ যৌবনকালেই সংগ্রহ করো।’ বর্তমান সময়ে যুবসমাজের সার্বিক অবক্ষয়ের বড় কারণ হলো- সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার যথাযথ তদারকির অভাব। সমাজের অনেক পিতা-মাতা, নিজ সন্তানের চলাফেরা ও গতিবিধির প্রতি লক্ষ্যই রাখেন না। তা ছাড়া, ছোটবেলা থেকে নৈতিক শিক্ষা, নামাজ, রোজা ও কুরআন-সুন্নাহর বিধিবিধানের প্রতি উদাসীন থাকা সন্তানকে যুবক বয়সে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে গাফেল রাখে।
যুব সমাজের মধ্যে যে অস্থিরতা নৈতিক অবক্ষয়ের জন্ম নিয়েছে এজন্য বর্তমান রাজনীতি কম দায়ী নয়। সুন্দর সুস্থ রাজনীতির বিপরীতে যখন কোনো রাষ্ট্রে অসুস্থ রাজনীতির বীজ দানা বাঁধে তখন সার্বিক দিক থেকে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সমাজের ওপর। আর আমাদের সমাজেরই একটি বড় অংশ যুবসমাজ। যারা অধিকাংশ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাথে অধ্যয়ন শেষ করেছে। আমরা যদিও জেনে আসছি এসব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয় মানুষ গড়ার কারখানা। অথচ বাস্তবতা হলো আজ আমরা দেখতে পাই দেশের এই শীর্ষ বিদ্যাপীঠগুলো যেন তরুন প্রজন্মের নৈতিক অধঃপতন সন্ত্রাসের কারখানায় পরিনত হয়ে গেছে। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে তরুনরা অরাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে সেসবই তার প্রমান।
অথচ অভিভাবকদের ভাবনা ছিলো পড়াশুনা শেষ করে নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে পরবর্তী জীবনে নিজের জীবন যেমন গড়ে তুলবে তেমনি দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে। কিন্তু বর্তমান প্রচলিত রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রজীবনের সেই আগ্রাসী মনোভাব ছাত্রত্ব শেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় যুবক বয়সে এসে তারা ক্রমান্বয়ে বড় বড় মাস্তান সন্ত্রাসীতে পরিণত হচ্ছে যা দেশ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক। আর তাই তারা নানা ধরনের অপরাধ করে চলেছে অবাধে। আর তাই আজ যুব সমাজের অবক্ষয়ের মধ্যেই দেখা দিয়েছে সামাজিক অবক্ষয়। ফলে রাজনীতির চক্রান্তে পড়ে সুস্থ সমাজ নির্মাণের পরিবর্তে অসুস্থ সমাজ নির্মাণের শক্তিতে পরিণত হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, শংকার কারণ একইসঙ্গে দুঃখজনক।
সাম্প্রতিককালে রাজনীতির নামে এভাবেই যুবসমাজ নিজেদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আজকের যুবসমাজ। নীতি নৈতিকতা ভুলে গিয়ে রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু সংখ্যক বড় বড় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। অর্থের লোভে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি, আধিপত্য বিস্তারের নামে যুবসমাজের অবক্ষয় আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। সা¤প্রতিক সময়ে সরকারের শুদ্ধি অভিযানের রাজনীতির নামে, দলবাজির নামে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে যুবসমাজ।
বর্তমান যুবসমাজ বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত। বর্তমানে প্রচলিত রাজনীতিতে নানা কারণে যুবসমাজ আজ বিপদগ্রস্ত, বিতর্কিত। কারন রাজনৈতিক গোষ্ঠিগুলো আজ এই যুবসমাজকে নিজেদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র সমূহ থেকে বিষাক্ত মাদক সরবরাহ করে ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করছে যুবসমাজকে। আর তাই রাজনীতিতে একটি পরিচ্ছন্ন ভাবধারা গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই আসুন আপনিও! আমাদের পথ চলার সাথী হোন একটি পরিচ্ছন্ন ভাবধারা গড়ে তোলার প্রয়াসে।
লেখক:
সাধারণ সম্পাদক, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
তথ্যসুত্রঃ-
১. আল কুরআন
২. তাফসীরে ইবনে কাসীর
৩. সহীহ বুখারী
৪. সহীহ তিরমিজী
৫. গুগোল