চরমোনাইয়ের শততম মাহফিলে লাখো মানুষের ভিড়

চরমোনাইয়ের শততম মাহফিলে লাখো মানুষের ভিড়

সংবাদ

চরমোনাই’র ১০০তম মাহফিল শুরু হয়েছে। মাহফিলে যোগ দিয়েছেন সারা দেশের লাখো মানুষ। বুধবার ২২ নভেম্বর জোহরের নামাজের পর ঐতিহাসিক চরমোনাই ময়দানে শততম এই বার্ষিক মাহফিল শুরু হয়।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এর বয়ানের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়। মাহফিলের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় স্টেজে জাতীয় ওলামা সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন সকাল ১০টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার আনুমানিক সকাল ৮টায় আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে চরমোনাইয়ের শততম মাহফিল।

উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দুনিয়া হলো মাকাল ফলের মতো। এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পাগল হয়ে চিরস্থায়ী আখিরাতকে নষ্ট করা যাবে না। দুনিয়ার সকল মানুষই পাগল। কেউ পদ-পদবীর জন্য পাগল, কেউ এমপি-মন্ত্রী হওয়ার পাগল, কিন্তু একদল আছে মাওলা পাকের পাগল। চরমোনাই মাহফিল মূলত মানুষকে মাওলা পাকের পাগল বানিয়ে ছেড়ে দেয়। এতে মানুষ দুনিয়ার মোহ ছেড়ে দিয়ে দ্বীনের পাবন্দ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে দুনিয়ার হাকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে। মুরাকাবা করতে হবে। দুনিয়ার সকল মানুষ এমনকি রাজা-বাদশা এবং রাস্তার ফকীর সবাই বিবস্ত্র অবস্থায় দুনিয়ার জমিনে জন্মগ্রহণ করেছেন। আবার দুনিয়ার সফর শেষে কবর পথেও একই অবস্থা তথা ৩ টুকরা সাদা কাপড় নিয়েই বিদায় নিতে হবে। দুনিয়ায় ভাগ্যক্রমে কেউ ধনবান হয়ে চিরস্থায়ী জগতে জান্নাতের নাজ নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া যাবে না। দুনিয়ার সময়টাকে কাজে লাগিয়ে চিরস্থায়ী জগতের সামান জোগাড় করতে হবে।

জানা যায়, মাহফিলে আগত মুসল্লীদের চিকিৎসার জন্য ৪০ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক ৫টি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে মাহফিলকে ঘিরে।

ওলামা সম্মেলনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও দারুল উলুম দেওবন্দ’র (ভারত) দু’জন সিনিয়র মুহাদ্দিস ওলামা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

মাহফিলে মূল সাতটি বয়ান করবেন। যথাক্রমে- আমীরুল মুজাহদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।