
চলমান তাপদাহ একটি গজব তারচেয়ে বড় গজব আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান গণবিরোধী ও নতজানু সরকারের কারণে আমাদের ওপর গজব নাজিল হয়েছে। এই গরমের জন্য সরকারই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী নতজানু সরকার। আজকে ফারাক্কায় পানি নেই। পদ্মা, যমুনা ও তিস্তায় পানি নেই। ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশোর মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যূদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট কাঠ পাথরে ভরে দেয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি-দস্যুরা তা ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি-দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে প্রচণ্ড গরম। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে মানুষ কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থা কিন্তু বাংলাদেশে অতীতে ছিল না। আমরা সরকারের নিকট দাবী করছি ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি-দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। না হলে সারা দেশের জন্য পানি আনতে হবে। আজকে ঢাকা শহরসহ দেশকে মরুকরণ করা হচ্ছে।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতী শওকত উসমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ্ তালুকদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম রফিকুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নাসির উদ্দিন, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ তসলিম উদ্দিন রুবেল, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহ পরান, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান হিমেল, দাওয়াহ্ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কৃষিবিদ মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কাউসার আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ রায়হানুল ইসলাম, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এইচ এম গোলাম রাব্বি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কাশেম, সংখ্যালঘু ও নৃ-গোষ্ঠী কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, উপ-সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল গফুর, মুহাম্মাদ মহাসিন হাওলাদার প্রমুখ।