ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে মাদকাসক্তি বেড়ে চলছে। বর্তমান সরকার মাদককে সহজ্যলভ্য করে দেওয়ায় যত্রতত্র মদের বার গড়ে উঠছে। ইয়াবাসহ ভয়াবহ মাদক দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পরছে। সরকার লোক দেখানো মাদক নির্মূলে কাজ করছে। অপরদিকে সিমান্ত খুলে দেয়ায় ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবাদে মাদক ঢুকছে। মাদকাসক্ত হয়ে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত। অপরাধ বেড়ে চলছে। কিশোর গ্যাংও মাদকের কুফলের কারণে। এমতাবস্থায় ইসলামের বিধি-বিধানে সকলকে ফিরে আসতে হবে। ইসলামে মাদক সরবরাহ মাদকের উৎপাদন বেচা কিংবা সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র হবে সুন্দর। অপরাধ থাকবে না।
তিনি বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে মাদক বয়কট করতে হবে।
শুক্রবার (২৫ মে) বেলা ৩টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ‘মাদক, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও দূর্নীতি প্রতিরোধে যুব সমাজের করণীয়’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইউনুছ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল প্রকৌশলী মোঃ মারুফ শেখ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার বাঙালী, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা হাফিজুল হক ফাইয়াজ, মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি মুফতী শওকত ওসমান প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। তাদের পেশাদার দায়িত্বশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ কারণে উপঢৌকন হিসেবে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছে। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। এভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মর্যাদাকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। ভারতে বাংলাদেশের এমপি খুন হয়। সরকার ভারত বন্দনায় ব্যস্ত। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
